করোনা মোকাবিলায় আসানসোল ও দুর্গাপুরে জরুরী পদক্ষেপ প্রশাসনের

আসানসোল ও দুর্গাপুর: জেলায় করোনা আক্রান্তর সংখ্যা রবিবার রাত পর্যন্ত ৩৫০ পেরিয়ে গেছে। তাদের মধ্যে ২০০ জনের বেশি মানুষ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। করোনা সংক্রমণ রুখতে কড়া পদক্ষেপ নিলো পশ্চিম বর্ধমান জেলা প্রশাসন। আসানসোলের মহকুমাশাস দেবজিৎ গাঙ্গুলি রবিবার সন্ধ্যায় এক নির্দেশিকা জারি করে বলেছেন, রবিবার সকাল আটটা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত দোকান বাজার খোলা থাকবে।

ঔষধ থেকে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দোকানও দুপুর একটার পরে বন্ধ থাকবে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই নির্দেশ কার্যকর থাকবে।মহকুমাশাসক বলেছেন, রেস্টুরেন্ট ও খাবারের দোকান খোলা থাকলেও, সেখানে বসে কেউ খেতে পারবেন না। শুধু হোম ডেলিভারি করা যাবে।

অপরদিকে করোনা মোকাবিলায় দুর্গাপুর নগর নিগমে একটি জরুরী বৈঠক করা হয়। এই বৈঠকটি হল দুর্গাপুর মহকুমা প্রশাসন, দুর্গাপুর পুলিশ ও দুর্গাপুর নগর নিগমের মধ্যে। বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন মহকুমা শাসক অনির্বাণ কোলে, আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসিপি(পূর্ব) অভিষেক গুপ্তা, বিভিন্ন পুলিশ আধিকারিকগণ, মহানাগরিক দিলীপ অগস্তি সহ মেয়র পারিষদ ও কাউন্সিলররা।এদিনের বৈঠক শেষে ডিসিপি(পূর্ব) অভিষেক গুপ্তা জানান যে, করোনা প্রতিরোধে শহর দুর্গাপুরে যত রকমের সমস্যা আছে সেই সমস্ত সমস্যা সমাধানে সমস্ত রকমের পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত পুলিশ প্রশাসন।

চিকিৎসা ব্যবস্থা থেকে শুরু করে বাজার সমস্যাগুলো কিভাবে সমাধান করা যাবে তা নিয়ে মূলতঃ আজকের বৈঠকে আলোচনা করা হয়। যার মধ্যে রয়েছে হাসপাতালে করোনার চিকিৎসা পরিষেবার আরো উন্নতি, রোগীর পরিষেবার ক্ষেত্রে অ্যাম্বুলেন্সে সার্ভিসে চালকদের ভীতি দূর করার ক্ষেত্রে সচেতনতা, করোনায় কোনো রোগীর মৃত্যু হলে তার দাহকার্য কোথায় কিভাবে করা হবে তা নিয়েও ভাবনা চিন্তা চালানো হচ্ছে।

দুর্গাপুর বনিকসভার সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে আগামীকাল থেকে দুর্গাপুরের সমস্ত বাজার সকাল ৮টায় খুলবে আর বেলা ১টার মধ্যেই তা বন্ধ করে দেওয়া হবে। অবশ্য এই সময়সীমার বিধি নিষেধ ওষুধের দোকান ও অত্যাবশ্যকীয় পন্যের ক্ষেত্রে কার্যকরী হবে না। এর পাশাপাশি তিনি আরো জানান শহরের সমস্ত রেস্তোরাঁ ও হোটেলগুলি খোলা থাকবে শুধুমাত্র হোম ডেলিভারীর জন্য। রেস্তোরা ও হোটেলে বসে খাওয়া দাওয়া করতে পারবেন না কেউ। এই নিয়মগুলি মহকুমা প্রশাসন ও দুর্গাপুর নগর নিগমের অন্তর্ভুক্ত শহর ও গ্রাম উভয় ক্ষেত্রেই প্রয়োগ করা হবে।