দুর্গাপুর: করোনা আক্রান্ত রোগীর তথ্য গোপন করার অভিযোগে বদলি হল দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের সুপার দেবব্রত দাস। তাঁকে পাঠানো হয় কোচবিহারের জেডি হাসপাতালে । পরিবর্তে মহকুমা হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার ইন্দ্রজিৎ মাজিকে সুপারের দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেয় জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর।
দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগে ভর্তি এক মহিলা সোমবার সন্তান প্রসব করেন। ওই দিন রাতেই তাঁর করোনা রিপোর্ট পজিটিভ রিপোর্ট আসে।
অভিযোগ, এই তথ্য হাসপাতাল সুপার গোপন করেন। মঙ্গলবার ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই সুপারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানিয়ে প্রসূতি বিভাগের ৬ জন চিকিৎসক ও ১৩ জন নার্স কাজ বন্ধ করে দেন জনসাধারণ । তাঁদের অভিযোগ , এক মহিলা করোনা আক্রান্ত জানার পরেও সেই খবর গোপন করেছেন হাসপাতাল সুপার। ফলে যথাযথ সুরক্ষা না নিয়ে চিকিৎসা করতে গিয়ে একাধিক চিকিৎসক ও নার্স ওই মহিলার সংস্পর্শে আসে।
করোনা রোগী প্রসূতি বিভাগে থাকায় সেখানকার অন্যান্য মহিলা ও নবজাতকদের পাশাপাশি হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সদের মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। নিশ্চিত হতে তাঁদের সোয়াব নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে বলে জানা যায়। সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত সুপার ইদ্রজিৎ মাজি বলেন, ‘প্রসূতি বিভাগের সমস্ত চিকিৎসক ও নার্সের সোয়াব নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রিপোর্ট আসবে। ততক্ষণ পর্যন্ত তাঁদের কাজে যোগ দিতে নিষেধ করা হয়েছে। এর পাশাপাশি একাধিক সদ্যোজাত শিশু ও তাদের মায়ের সোয়াব পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।’ তিনি জানান, প্রসূতি বিভাগের মা ও শিশুদের অন্য একটি ওয়ার্ডে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। মঙ্গলবারের পর বুধবারও প্রসূতি বিভাগ স্যানিটাইজ করা হচ্ছে যাতে এখান থেকে করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা না থাকে। এর ফলে বুধবার প্রসূতি বিভাগ বন্ধ ছিল।
এই ঘটনায় স্বাস্থ্য পরিষেবায় গাফিলতির অভিযোগে সরব বিরোধীরা। সিপিএমের জেলা কমিটির সম্পাদক পঙ্কজ রায় সরকার বলেন, ‘দেবব্রত দাসের বিরুদ্ধে নিউ টাউনশিপ থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। আমাদের জেলা নেতা রাকেশ শর্মা অভিযোগ করেছেন। সুপারের গাফিলতির জন্য দু’দিন ধরে মহকুমা হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগে রোগী ভর্তি বন্ধ আছে। কোনও গরিব মানুষ যদি এখন হাসপাতালে আসেন তিনি পরিষেবা পাবেন না। এর দায়িত্ব কে নেবে?’