মানুষের সাথে মানুষের পাশে : শ্রেয়সী

“সকলের তরে সকলে আমরা, প্রত্যেকে আমরা পরের তরে”

সারা পৃথিবী যখন করোনার ভয়ে কম্পিত,এবং আমফানের মত প্রাকৃতিক দুর্যোগে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠছে।মানুষ থেকে থেকে শুরু করে রাস্তায় ঘুরে বেড়ানো বিভিন্ন প্রাণী যখন খাদ্যের অভাবে কাতরাচ্ছে তখন তাদের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন শ্রেয়সী হাজরা।

মা ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশনের কর্ণধার শ্রেয়সী হাজরা, বয়স ২৪ বছর, মা,বাবার একমাত্র কন্যা। থাকেন অন্ডাল,দক্ষিণখন্ডগ্রাম, পশ্চিম বর্ধমান এ তিনি বিনামূল্যে ফুডব্যাঙ্ক করেছেন গরীব দুস্থ বাচ্চাদের জন্য , এছাড়া জামাকাপড় বিতরণ,রাস্তার পশুদের দুবেলা খাওয়ানো থেকে তাদের চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়ে নিজের সামর্থ্য মত সেবা করে চলেছে।এই কাজে তাকে সাহায্য করছেন তার মা – বাবা।

খুদে বাচ্চাদের সাথে শ্রেয়সী

এর সাথে সাথে মা ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশন
দুস্থবাচ্চাদের আঁকা,গান,নাচ,কম্পিউটার,পড়ানোর পাশাপাশি তাদের বিভিন্ন হাতের কাজের প্রশিক্ষন দেওয়ার কাজ করেচলেছে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে।

বাচ্চাদের পড়াতে ব্যস্ত শ্রেয়সী

শ্রেয়সীর মনে করে – ‘অতি শিক্ষিত সমাজ আজ ব্যস্ত, তারা জানে শুধু পরিবেশের কিভাবে ভারসাম্য নষ্ট করতে হয়,মানব জীবনের সেবায় আমি নিজেকে উৎসর্গ করতে পেরে অসময়ে তাদের পাশে দাঁড়াতে পেরে আমি খুব আনন্দ পাই।’

শ্রেয়সী নিজে নিরামিষ ভোজী হলেও মানুষের মুখে আমিষ তুলে দিতে পেরে সে ভীষণ খুব আনন্দিত।”শিব জ্ঞানে জীব সেবার আদর্শ কে ” শ্রেয়সী ও তার টিম বাস্তবে রূপায়িত করেছেন।

আম্ফান বিধ্বস্ত এলাকায় শ্রেয়সী

যে সমাজ আজও নারী জাতিকে অবহেলার নজরে দেখে, নারী জাতিকে তার যোগ্য সম্মান দিতে কুণ্ঠা বোধ করে, সেই সমাজের বুকে আরো আরো শ্রেয়সীর আবির্ভাব হোক। eFindout.Com এর পক্ষ থেকে কুর্নিশ জানায় শ্রেয়সী ও তার টিম কে।