সিয়ারসোলের রথ এবং এর ঐতিহ্য সম্পর্কে জানতে আমাদের পাড়ি জমাতে হবে ইতিহাসে। যে ইতিহাসের শুরু এক্কেবারে কাশ্মীরে। কাশ্মীরে তখন আফগানি আগ্রাসন বাড়ছে, অত্যাচারিত ও ভীত হয়ে বহু কাশ্মীরি কাশ্মীর ত্যাগ করে পালাচ্ছেন। এমনই এক সময় এক কাশ্মীরী বাসিন্দা, নাম মনসারাম পন্ডিত, গোপনে লখনৌতে পাড়ি দিলেন, সঙ্গে দুই পুত্র সদাশিব ও শিবপ্রসাদ পন্ডিত। লখনৌতে তারা ফারসি ও উর্দু ভাষা শিখলেন, কিন্তু যোগ্য কাজ না পাওয়ায় সদাশিব চলে যান কলকাতায় এবং শিবপ্রসাদ বারাণসীতে। কলকাতার আদালতের সেরেস্তায় তখন ফারসি উর্দু জানা লোকের চাহিদা বেশ ছিল। সদাশিব কাজ পেয়ে গেলেন সহজেই। কিছুদিন পরে ভাই শিবপ্রসাদ এলেন তার কাছে। তারা কলুটোলা স্ট্রিটে বাসা নিলেন। এই শিবপ্রসাদ পন্ডিতের বড় ছেলে শম্ভুনাথ পন্ডিত। তিনিই পরবর্তী কালের এক সমাজ সংস্কারক, বিদ্যাসাগর বেথুনের বন্ধু এবং কলকাতা হাইকোর্টের প্রথম এদেশীয় বিচারপতি।
এই গেল শিবপ্রসাদ পণ্ডিতের পুত্র পরিচয়। ওদিকে সদাশিবের পুত্র হলেন গোবিন্দপ্রসাদ পন্ডিত। প্রথমে কলকাতার আলিপুর কোর্টে কাজ শুরু করেন তিনি। পরে কালেক্টর হিসেবে কর্মসূত্রে বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে বঙ্গের বিষয়-সম্পত্তি ও ব্যবসায় প্রাথমিক অভিজ্ঞতা লাভ করে বর্তমানের পশ্চিম বর্ধমানের রানীগঞ্জের সন্নিকটেই বোগড়াচটিতে এসে উপস্থিত হলেন। উনবিংশ শতকের প্রথমদিকে প্রথমে অ্যান্ডারসন অ্যান্ড কোম্পানির কর্মচারী হিসেবে যোগ দিলেও অর্থ সঞ্চয় ও জমি ক্রয়ের দ্বারা হয়ে ওঠেন এ অঞ্চলের জমিদার। স্বল্প সময়েই বর্ধমান, বাঁকুড়া, বীরভূম, পুরুলিয়া ও হুগলিতে জমিদারিত্ব বিস্তার লাভ করেন তিনি। কথিত আছে যে দানশীল ও স্নেহপ্রবণ গোবিন্দপ্রসাদ তার জমি থেকে কয়লা উত্তোলনের ফলে যা রয়্যালটি পেতেন তার বাইরে প্রজাদের কাছে আর কোনো রাজস্ব গ্রহণ করতেন না। সেই সময়ে সিয়ারশোলে একটি বাসভবন তিনি স্থাপন করেছিলেন, যা পুরনো রাজবাড়ি বা গোবিন্দ প্যালেস নামে পরিচিত। অবশ্য রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে আজ সে বাড়ি মৃত দেওয়ালের ধ্বংসাবশেষ মাত্র। গুরুদেবের নির্দেশে পন্ডিত পুকুর, রানার পুকুর ও তার দু-পাশে বাঁধানো ঘাটে শিব মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। তাছাড়াও, রাস্তাঘাট নির্মান ও গোবিন্দ প্যালেসের পাশে পাথরিয়া বা পাথুরে পুকুর খনন করেন এবং শিক্ষার সুবিধার্থে চতুষ্পাঠী স্থাপন করেন। গোবিন্দপ্রসাদ বিদ্যাসাগরের সহযোগিতায় ১৮৫৬ খ্রিস্টাব্দে একটি ইংরেজি মাধ্যম বিদ্যালয় স্থাপন করেন। বর্তমানে বিদ্যালয়টির নাম সিয়ারসোল রাজ উচ্চ বিদ্যালয়। সে বিদ্যালয়েই ভারতবর্ষের গর্ব বিদ্রোহী কবি এবং বাংলাদেশের জাতীয় কবি নজরুল ইসলাম শিক্ষা লাভ করেছিলেন এবং বিদ্যালয়ের বিপ্লবী শিক্ষক নিবারণচন্দ্র ঘটকের কাছে বিপ্লবী মানসিকতার অগ্নিমন্ত্র লাভ করেছিলেন নজরুল। শিখেছিলেন ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীত, শিক্ষক সতীশচন্দ্র কাঞ্জিলালের কাছে। শৈব ভক্ত ও তন্ত্রে বিশ্বাসী জনকল্যাণময় জমিদার গোবিন্দপ্রসাদ সিপাহী বিদ্রোহে এবং সাঁওতাল ও হুল বিদ্রোহের জন্য অর্থ সাহায্য করেছিলেন, গোপনে। যা পরবর্তীকালে ইংরেজদের কর্ণগোচরে এলে ইংরেজরা তাকে গ্রেফতার করে সিউড়ির জেলে আটক করে এবং সেইখানে বিষ পান করিয়ে তাকে মেরে ফেলা হয়!
গোবিন্দপ্রসাদের সন্তান সংখ্যা সম্পর্কে দুইটি সূত্র দুইরকম মত পেশ করে। একটি সূত্র বলে তার দুই পুত্র ও এক কন্যা হরসুন্দরী দেবী। যার মধ্যে দুই পুত্রই অকালে মারা যান। আর দ্বিতীয় সূত্র বলে তার চার কন্যা যথা শ্যামাসুন্দরী, হরসুন্দরী, সত্যভামা ও উত্তম কুমারী। যার মধ্যে দ্বিতীয় কন্যা একমাত্র বিবাহিতা ছিলেন, তবে দুইটি সূত্রের কেন্দ্রস্থল এই যে, হরসুন্দরী দেবীই একমাত্র, তাঁর জীবিত ও বিবাহিতা কন্যা ছিলেন।
মৃত্যুর পূর্বে গোবিন্দপ্রসাদ তার সমস্ত সম্পত্তি গৃহদেবতা দামোদর চন্দ্র জি’র নামে দেবোত্তর করে দিয়ে যান এবং উল্লেখ করে দেন এইভাবে যে, বংশের সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যক্তি সেবাইত হয়ে গৃহদেবতার সেবা করবেন। ফলে ইংরেজদের আইনে মেয়েদের সম্পত্তি দান করার কোন পদ্ধতি না থাকায়, সম্পত্তি বেদখল এর হাত থেকে তিনি এভাবেই তার সম্পত্তি রক্ষা করেছিলেন। সাথে তার স্ত্রী দাড়িম্ব দেবী যেন দত্তকপুত্র নিতে পারেন সে ব্যবস্থাও করে দিয়ে যান গোবিন্দপ্রসাদ এবং কন্যা হরসুন্দরীকে ইংরেজ সরকারের সরাসরি বিরোধিতা না করার বুদ্ধি এবং উপদেশ দুটোই তিনি দিয়ে গিয়েছিলেন।
হরসুন্দরী দেবীর বিবাহ হয় সিঙ্গুর নিবাসী পাঞ্জাবের সারস্বত বংশের ব্রাহ্মণ মতিলাল মালিয়ার সঙ্গে। গোবিন্দপ্রসাদও কাশ্মীর নিবাসী সারস্বত ব্রাহ্মণ ছিলেন। রাজতরঙ্গিনীতে লিপিবদ্ধ পঞ্চগৌড় ব্রাহ্মণদের পাঁচটি বিভাগের একটি হলো এইটি। এই হিন্দু ব্রাহ্মণেরা সরস্বতী নদীর তীরবর্তী অঞ্চলে বসবাস করত বলে জানা যায়। মতিলাল ১৮৬২ সালে মারা যান। তাঁর এবং হরসুন্দরী দেবীর মোট পাঁচজন পুত্র বিশ্বেশ্বর মালিয়া, রামেশ্বর মালিয়া, দক্ষিণেশ্বর মালিয়া। এবং সর্বেশ্বর ও সূর্যেশ্বর মালিয়া। এই দুই পুত্রই অকালে প্রাণ হারান। তাদের এক কন্যা সন্তানও ছিলেন, নাম মনমোহিনী দেবী।
হরসুন্দরী দেবী এবং পিতার মৃত্যুর পর বিশ্বেশ্বর মালিয়া জনকল্যাণকর কাজে নিজেদের সঁপে দেন। বিশ্বেশ্বর মালিয়া ও তার স্ত্রী গোলাপ সুন্দরীর নামে বিশ্ব-গোলাপ প্যালেস তৈরি করেন, যা আজ নতুন রাজবাড়ী নামেও পরিচিত। দাড়িম্ব দেবীর মৃত্যুর পরেই জমিদারী ক্ষমতা মালিয়াদের হাতে স্থানান্তরিত হয়। মতিলাল মালিয়া ১৮৬২ খ্রিষ্টাব্দে ও দাড়িম্ব দেবী ১৮৭২ খ্রিষ্টাব্দে মারা যাওয়ার ফলে, বিশ্বেশ্বর মালিয়া তদারকি ও পরিচালনায় বিশেষ ভূমিকা নিয়েছিলেন।
পন্ডিত থেকে মালিয়াদের আগমনের ইতিহাস আমরা জানলাম। জানলাম পরিবারের পরিচয় ও জমিদারি ব্যবস্থাপনা। এবার জানা যাক জমিদাররা কি করে হয়ে উঠলেন রাজা? কিভাবে এই বংশ রাজবংশ হয়ে উঠল। রাজপ্রতিনিধি নর্থব্রুকের সময়, ইতিহাস ঘেঁটে জানা যাচ্ছে ১৮৭২ খ্রিস্টাব্দ নাগাদ, জনহিতকর কাজের জন্য হরসুন্দরী দেবী ‘রানী’ উপাধিতে ভূষিত হলেন এবং বিশ্বেশ্বর মালিয়া পেলেন ‘রাজা’ উপাধি। তারপর ১৮৭৭ খ্রিস্টাব্দের ১লা জানুয়ারি মহারানী ভিক্টোরিয়ার ‘ভারতেশ্বরী’ উপাধি গ্রহণ উপলক্ষে বড়লাট লিটন হরসুন্দরী দেবীকে ‘মহারানী’ এবং বিশ্বেশ্বরকে ‘রাজা-বাহাদুর’ উপাধিতে সম্মানিত করলেন। সেই থেকে সিয়ারশোলের জমিদাররা হয়ে উঠলেন রাজা।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ‘সিওর’ বা ‘শ্যাওরা’ গাছের নাম থেকে ‘সিয়ার’ এবং ‘উর্বর জমি অর্থে শোল’, অর্থাৎ ‘শ্যাওরা গাছের প্রাধান্য যুক্ত উর্বর মৃত্তিকা’ থেকেই এই অঞ্চলের নাম হয়েছিল ‘সিয়ারসোল’। তবে এ অঞ্চলের নাম রানীগঞ্জ নাম হয়েছিল অন্যভাবে। তার সাথে পন্ডিত বাড়ির কোন যোগ তেমন নেই। একদল গবেষক মানেন রানী ব্রজকিশোরী কেঁদুলির রাধাগোবিন্দ মন্দির প্রতিষ্ঠা করে ফেরার পথে রানীগঞ্জে অবস্থান করেছিলেন বলেই এর নাম রানীগঞ্জ। আবার আরেকটি অভিমত বলে রানী বিষনকুমারীর কথা স্মরণেই এ জায়গার নাম রানীগঞ্জ। সিয়ারশোলের অনতিদূরে রানীরা সরোবরে আসতেন। সেখানকার সরোবর বা সায়র থেকেই সে জায়গার নাম হয়ে উঠেছিল রানিসায়র, যা আজও রানিসায়র নামেই পরিচিত।
রথ প্রসঙ্গের সূচনা ঠিক এখানেই, ১৮৭৭ খ্রিস্টাব্দে হরসুন্দরী দেবীর উদ্যোগে সিয়ারসোলে তৈরি হলো প্রথম কাঠের রথ। খড়ের আটচালা আচ্ছাদনে সেটির বিশ্ব-প্যালেস থেকে অনতি দূরে রাখার বন্দোবস্ত করা হলো। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে সে রথে হঠাৎ আগুন লেগে যায়। পুড়ে যায় দেবতার যান! রাজপরিবারে ভয়ের সঞ্চার ঘটে। অনিয়মই বুঝি এই বিপদ! সন্ধিগ্ধ মনে প্রথমটায় আর নব উদ্যোগ না নেওয়া হলেও, কথিত আছে এক আশ্চর্য ঘটনার কথা। আদতে তা ঘটনা না স্বপ্নাদেশ তাও স্পষ্ট নয়। তবে গৃহদেবতা দামোদর চন্দ্র জিকে রানার জলে ভেসে থাকতে দেখেন রাজপরিবারের কোনো সদস্য, খুব সম্ভবত বিশ্বেশ্বর মালিয়ার পুত্র প্রমথনাথ মালিয়া। এমনটা দেখেই, ১৯২৩ খ্রিস্টাব্দে প্রমথনাথের তৎপরতায় কলকাতার শ্রী প্রসাদ চন্দ্র দাস এন্ড কোম্পানীর দ্বারা পিতলের রথ তৈরীর কাজ সু-সম্পন্ন হয়। ১৩৩০ বঙ্গাব্দের ২৬ শে আষাঢ়, রোববার, রথটির প্রতিষ্ঠা করা হয়। তবে এর জন্য আর কোনো আচ্ছাদন তৈরি করা হয়নি, এমনকি আজও না। রথটি নটি চূড়া সম্পন্ন এবং মালিয়া পরিবারের কথায়, পিতলের তৈরি রথের মধ্যে সর্বোচ্চ। উচ্চতায় ত্রিশ ফুট এবং দৈর্ঘ্য-প্রস্থে ষোল ফুট তিন ইঞ্চি বর্গাকার রথটি ত্রিতল বিশিষ্ট। সামনের দিকে প্রথম তলে একটি প্রবেশপথ আছে এবং ভেতরে গা বরাবর সিঁড়ি দিয়ে ওপরে ওঠার ব্যবস্থা আছে। টেরাকোটা নবরত্ন মন্দিরের আদলে তৈরি পিতলের রথের গায়ে বসানো আছে রামায়ণ, মহাভারত, পৌরাণিক এবং কৃষ্ণলীলা বিষয়ক নানা মূর্তি। উল্লেখযোগ্য মূর্তিগুলি হল অন্নপূর্ণা, বিষ্ণু, কালী, সিংহবাহিনী, সীতাহরণ, রাধাকৃষ্ণ, জগাই-মাধাই, গৌর-নিতাই, বিষ্ণুর দশাবতার, রাম-সীতা-দশানন, জগন্নাথ-বলরাম-শুভদ্রা, দক্ষিণা কালী, বকাসুর বধ, কালীয় দমন, বাবুবিলাস এবং বিদেশি রমণী। রথের চারদিকে মোট ৩৬ জোড়া ময়ূর এবং চোখ আছে। উল্লেখ্য মূর্তিগুলি রথের গায়ে স্থায়ী ভাবে বসানো আছে। রথযাত্রার দিন রথের সামনের দিকে দুটি ঘোড়া, সারথী এবং দ্বারপালও বসানো হয়। তবে এ রথের রথারূঢ় জগন্নাথ নন, তিনি দামোদরচন্দ্র জি।
১৯২৩ খ্রিস্টাব্দ থেকেই এই রথোৎসব মহাসমারোহে অনুষ্ঠিত হয়। পূর্বে রথটি মানুষ টানত, বর্তমানে ট্রাকের ক্ষমতায় এর প্রধান চালিকা শক্তি। সোজা রথের দিন রথটিকে বিশ্ব-গোলাপ প্যালেস বা নতুন রাজবাড়ী থেকে গোবিন্দ প্যালেস বা পুরনো রাজবাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। আবার উল্টো রথে, পুরনো রাজবাড়ি থেকে নতুন রাজবাড়ীতে নিয়ে আসা হয়। পূর্বে অবশ্য এর বিপরীত হতো। তখন পুরনো রাজবাড়িতে রাজপরিবারের কেও না থাকলেও হতো, নাটকের রিহার্সেল, তা বিদ্যালয় রূপেও ব্যবহৃত হতো একদা। এ বাড়ি, ঐতিহ্য ছিল, ধ্বংসাবশেষ ছিল না। তাই সারা বছর পুরোনো রাজ বাড়ির কাছেই রথ দণ্ডায়মান থাকতো। প্রতিবছর সকাল ৮-৯’টার সময় সোজা রথ টানা শুরু হয়। গ্রামের ও আশেপাশের মানুষের ভিড়ে এ উৎসব সবার প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। উল্টোরথ দুপুর দিকে হয়ে থাকে। সাথে চলে ৮ দিনব্যাপী মেলা। বর্তমানে রাজবাড়ির পরিবর্তে, সিয়ারসোল স্পোর্টস এন্ড কালচারাল অ্যাসোসিয়েশন রথোৎসব পরিচালনা করে, রক্ষনাবেক্ষনের দায়িত্বে আছে এখনো রাজবাড়ির সদস্যরাই।
ঐতিহ্য ও ইতিহাস রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব বর্তমানের। আর তার দায়িত্বহীনতায় ঐতিহ্য ধুলিস্মাৎ হয়ে যেতে পারে। ধ্বংসাবশেষ হয়ে যেতে পারে নিমেষেই। অনেকটা আগুনের মতো বিষয়। দপ করে জ্বলে ছাই হয়ে যায়। তাই ঐতিহ্যশালী এই জায়গার মাঝে শত স্মৃতি বিজড়িত ঐতিহ্যময়ী পুরনো রাজবাড়ির ধ্বংসাবশেষ, এক কথায়, রক্ষণাবেক্ষণের অভাব ও চরম অবজ্ঞার প্রকাশ, কোথাও যেন কোনো ঐতিহ্য, ইতিহাস, আনন্দ বা গর্বের অতলে, দুঃখ হয়ে যন্ত্রণা দেয়। ঠিক এই কারনে, ঐতিহ্যবাহী এই রথের রক্ষণাবেক্ষণ অত্যাবশ্যক এবং সমান্তরাল ভাবে গুরুত্বপূর্ণ। পুরনো রাজবাড়ির অশ্রু, পেতলের ঐতিহ্য স্পর্শ করলে, তা শুধু অপূরণীয় ক্ষতিই হবেনা! হবে লজ্জা, গ্লানি, আর সাথে থেকে যাবে ইতিহাসকে, গর্বকে অপমানিত করা বর্তমানের তীব্র ধিক্কার!
তথ্যসূত্র:
1. আনন্দবাজার পত্রিকা (‘রেকর্ড কিপার থেকে বিচারপতি, এক পন্ডিতের কাহিনি’ শীর্ষক প্রবন্ধ)
2. এইসময় (‘সিয়ারসোল রাজবাড়ি এবং ঐতিহ্যবাহী পিতলের রথ’ শীর্ষক প্রবন্ধ)
3. ডেলিহান্ট (অনলাইন নিউজ প্ল্যাটফর্ম)
4. আঞ্চলিক লেখা
5. ম্যাগাজিনের লেখা (ক) নৈবেদ্য – সিয়ারশোল লাইব্রেরী কর্তৃক প্রকাশিত, (খ) অভ্যুত্থান – সিয়ারশোল রাজ উচ্চ বিদ্যালয় কর্তৃক প্রকাশিত
6. কয়লাশিল্প, সিয়ারশোল রাজবাড়ি ও নজরুল ইসলাম – গুনময় ফৌজদার [বই থেকে নির্দিষ্ট কিছু অংশ যথা,
(ক) ‘গুরুদেবের নির্দেশে পন্ডিত পুকুর, রানার পুকুর ও তার দুপাশে বাঁধানো ঘাটে শিব মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন’
(খ) ‘নজরুলের শাস্ত্রীয় সঙ্গীত গুরু সতীশচন্দ্র কাঞ্জিলাল’
(গ) ‘গোবিন্দপ্রসাদের সন্তান সম্পর্কিত দুই সূত্রের মধ্যে একটি সূত্র’
(ঘ) গোবিন্দ ও বি-জি প্যালেসের নামকরণ
(ঙ) রানীগঞ্জ ও সিয়ারশোলের নামকরণ
(চ) রথের প্রতিষ্ঠার দিন ও কারীগর
(ছ) ছবি
7. ইউটিউব ভিডিও (সিয়ারশোলের মেলা ব্লগ ও অনুরাধা মালিয়া শারফের ইন্টারভিউ)
8. কিছু প্রতক্ষ্যদর্শী ইতিহাসের সান্নিধ্যে থাকা মানুষের মুখে শোনা গল্প (যেমন, ১৯৪৭ থেকে সিয়ারশোলে বসবাসকারী ঁরেখা চট্টোপাধ্যায়ের কাছ থেকে)
9. প্রতক্ষ্য তথ্য (প্রতিবছর আমরা যা দেখে আসছি ও দেখছি সেখান থেকে কিছু তথ্য)
10) উইকিপিডিয়া ও ব্রিটানিকা