বর্ধমান জেলার নিকটবর্তী শহর হিসাবে দামোদরের তীরে অবস্থিত দুর্গাপুরের নাম আমাদের আবেগের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। ভারতের দ্বিতীয় পরিকল্পিত আবেগাশ্রিত শহরের অভিধায় চন্ডীগড়ের পরেই দুর্গাপুরের স্থান এবং পূর্বাঞ্চলের একমাত্র অন্তর্দেশীয় বন্দর হিসাবে দুর্গাপুর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও দুর্গাপুর আমাদের রাজ্যের তৃতীয় বৃহত্তম শহরের পরিচয়ে কলকাতা ও আসানসোলের পরেই জায়গা করে নিয়েছে। মূলত দুর্গাপুরের পরিচিতি “Ruhr of India”, যেখানে ভারতের বিখ্যাত ড: বিধান চন্দ্র রায় এর জন্মস্থান। এই শহরের শিল্পগত কারুকার্যটি চোখে পড়ার মতো, কারুকার্যটির পরিকল্পনা যাঁদের দ্বারা সাফল্যমন্ডিত,ওনারা হলেন জোসেফ অ্যালেন ও বেঞ্জামিন পোক। পুরো দুর্গাপুর শহরটিকে ঘিরে রাখা হয়েছে আধুনিকতম শিল্পমোড়কের আবরণে। বৃহৎ এই শিল্পবলয়টি তৈরি হয়েছে অজয় ও দামোদর নদকে ঘিরে। দুটি নদের সহাবস্থানে গড়ে ওঠা এই শহরটি তুলনামূলকভাবে রাজ্যের অন্যান্য শহরের চেয়ে উন্নয়নে দ্রুততা সাধন করেছে। এই শিল্পস্বাক্ষরতার পরিচয় বহন করে দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্ট (DSP), এটি পশ্চিমবঙ্গের খুব গুরুত্বপূর্ণ এক শিল্প শাখা। DSP ছাড়াও রয়েছে এক ইস্পাত কারখানা স্টিল অথরিটি অফ ইন্ডিয়া লিমিটেড (SAIL), যার অন্যতম শাখাটি হল ASP (Alloy steel plant)। এখানে রয়েছে পাওয়ার প্ল্যান্ট,কেমিক্যাল এবং ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প, তাছাড়াও আছে বিভিন্ন ছোট ছোট পাত তৈরির কারখানা। যেমন-DPL, DTPS, DVC ছাড়াও মঙ্গলপুর ও জুটমিল।
বিনিযোগকারীদের অর্থনিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্গাপুর এক উল্লেখযোগ্য ভিত্তিভূমি।শিল্পের পাশাপাশি এই রূঢ় অঞ্চলের মাটি চাষ-আবাদের পক্ষে খুবই উর্বর, তাই শহরের আশেপাশের গ্রামগুলিকে ঘিরে প্রধান শস্য ধানের পাশাপাশি বিভিন্ন উচ্চফলনশীল বীজের চাষ দেখা যায়।
রাজ্যের পুলিশি নিরাপত্তা বাহিনীর একটি দল হল আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ, শহরবাসীর কাছে এক নিশ্চিত ভরসা বাহিনী, দৈনন্দিন দিনের বা বিভিন্ন উৎসব উপলক্ষ্যে নানারকম অপ্রীতিকর ঘটনা বা ক্রাইম রুখতে মাত্র 100 ডায়ালের অপেক্ষা।এখানকার পুলিশস্টেশনটি অবস্থিত স্টিল টাউনশিপের অন্তর্গত অরবিন্দ অ্যাভিনিউতে।
দুর্গাপুরের পরিধি এক বিশাল এলাকা জুড়ে, তাই এখানে কম-বেশি বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষজনের অবস্থান। এদের মধ্যে হিন্দু ধর্মাবলম্বী মানুষদের সংখ্যাগরিষ্টতা সবচাইতে বেশি। 2011-র আদমসুমারী অনুযায়ী শতকরার দিক থেকে হিন্দুদের পরিমাণ 91•63%, বাকি 8•37%-এর মধ্যে অন্যান্য ধর্মাবলম্বী যেমন-মুসলিম,খিষ্টান,শিখ,বৌদ্ধ ও জৈন সম্প্রদায়ের মানুষজন।
দুর্গাপুরের সড়কপথগুলি খুবই ব্যস্ততম এবং উন্নততর যানবাহন বহুল যোগাযোগ মাধ্যমের এক সূচক। দুর্গাপুরকে বাঁকুড়া, বীরভূম ও পুরুলিয়া এই তিনটি ভিন জেলার মূল সড়কপথ হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে। দুর্গাপুরে বেনাচিতির রাস্তাঘাট প্রচুর সাবওয়ের মিলনস্থল, কোনো অপরিচিত ব্যক্তির সঠিক রাস্তা খুঁজে সেখান থেকে গন্তব্যস্থলে বা মূল রাস্তায় ফিরে আসা বেশ মুশকিল। এখানকার বাস পরিষেবার জন্য বেশ কয়েকটি স্ট্যান্ড রয়েছে, যেমন-প্রান্তিকা, সিটি সেন্টার ইত্যাদি। অন্যদিকে স্টেশন রোডের বাসগুলি শুধুমাত্র স্টেশন যাতায়ত পরিষেবার সঙ্গে নিযুক্ত ও আরও একটি আন্তঃনগরী বাস টার্মিনাস আছে। বর্তমানে দুর্গাপুরের সন্নিকটে অবস্থিত অণ্ডালের বুকে গড়ে উঠেছে কাজী নজরুল বিমানবন্দর, 2015-র মাঝামাঝি নাগাদ এই ইন্টারন্যাশানাল এয়ারপোর্টটি চালু হয়।
সুদীর্ঘ কাল থেকে আজ পর্যন্ত সংবাদপত্র বা সংবাদ মাধ্যম সমাজের এক বিশিষ্ট চালিকাশক্তি। সংবাদমাধ্যম ছাড়া সমাজের সাড়ত্ব কল্পনা করা দুস্কর। এই দুর্গাপুর গণমাধ্যম প্রচারের এক বিশিষ্ট স্থান। গণমাধ্যম ব্যবস্থার উন্নয়নের নিরিখে কলকাতা ও গুয়াহাটির পরেই দুর্গাপুর শহর এক উন্নত গণমাধ্যম ব্যবস্থার তকমা লাভ করেছে। এখানে বেশকিছু সংবাদ মাধ্যমের প্রধান কার্যালয়গুলি রয়েছে। যেমন-বেশ কয়েকটি নিউজ চ্যানেল হল এক্সপ্রেস নিউজ, অ্যাক্সেস ইনফো মিডিয়া,DSTV, Hallow India, TV Bangla এর পাশাপাশি দৈনন্দিন খবরের কাগজের পত্রিকা যেমন-‘গণশক্তি'(পড়ুন ও পড়ান) এবং সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং অধিক বিক্রিত “আনন্দবাজার পত্রিকা” প্রকাশিত হয় ঘুটগড়িয়া অঞ্চল থেকে,যেটি দুর্গাপুরের কাছেই কিন্তু অবস্থান বাঁকুড়া জেলায়। ‘সময় সংকেত’ নামের একটি বহু বিতর্কিত পত্রিকা ও ‘দৈনিক জাগরণ’নামের পত্রিকাটিরও সংস্করণ এই দুর্গাপুরেই।যদিও দুর্গাপুরের নিজস্ব কোনো FM Redio station নেই, তবুও 92.7 Big FM এবং 93.5 Red FM চ্যানেল দুটির অফিস মূলত আসানসোলে হলেও আসানসোল ও দুর্গাপুর উভয়ের যৌথ সহযোগিতায় গড়ে উঠেছে এই দুটি রেডিও স্টেশন। এবং বর্তমানেও Big ও Red-এর জনপ্রিয়তার সমান অংশীদার আসানসোল এবং দুর্গাপুর।
কোনো এক শহরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল সেখানকার শিক্ষা-সংস্কৃতি। শৈশাবস্থা থেকেই শিশুমনে এক সঠিক শিক্ষার বীজ যদি বপন করে দেওয়া যায় তাহলে সেই শিশুই হবে একদিন নিজস্ব ভবিষ্যত সমাজের ধারক ও বাহক। দুর্গাপুরের শিক্ষা-সংস্কৃতির প্রায় সবকটি ক্ষেত্রেই আধুনিকতার ছোঁয়া আছে। বেশ কিছু নামী দামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে আমাদের এই সৌন্দর্য নগরী দুর্গাপুরকে ঘিরে।তাদের মধ্যে দুর্গাপুরের NIT Engineering College-এর নাম গোটা রাজ্যবাসীর কাছে জ্ঞাত, যেটি স্বাধীনতার কিছু বছর পরেই 1956 সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানটির নাম-দুর্গাপুর গর্ভনমেন্ট কলেজ,এই সরকারী কলেজটি শুধুমাত্র দুর্গাপুরের নিজস্ব জেলাশহর বর্ধমানের একমাত্র সরকারী ডিগ্রি কলেজ নয়, বরঞ্চ পুরুলিয়া এবং বীরভূম- প্রতিবেশী এই দুই জেলার একমাত্র সরকারী মহাবিদ্যালয়। প্রতিষ্ঠানটি বর্ধমান বিদ্যালয়ের অধীনে 1970 সালের 15ই সেপ্টেম্বর স্থাপিত হয়েছিল,বর্তমানে এটি আসানসোলের কাজী নজরুল ইউনিভার্সিটির অধীনস্থ। তাছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন মেকানিক্যাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট- CMRI,CSIR. এছাড়া কয়েকটি Trainning Institute-এর পাশাপাশি রয়েছে B.Tech College. বিদ্যালয় স্তরের দিকে চোখ রাখলে আমরা দেখতে পাব এখানে রয়েছে দুটি কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় এবং জওহর নভোদয় বিদ্যালয়। এছাড়াও প্রচুর পরিমানে প্রসিদ্ধ প্রাইভেট এবং বেসরকারী বিদ্যালয়ও আছে। যাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি প্রতিষ্ঠান হল St.Michael’s School, St Peter’s School,Delhi Public School,Carmel Convent high school, Fuljhore DPL Boys’ School, DPL Girls’ Carmel School, Durgapur Steel Township, DAV Model School, Bidhan Chandra Institute for Boys & Bidhan Chandra institute for Girls – এরকম আরও বহু প্রসিদ্ধ বিদ্যালয়ের সংখ্যা অগণিত।
এরপর ক্রীড়াক্ষেত্রের দিকে যদি আমরা এগিয়ে আসি তাহলে আমরা দুর্গাপুরের স্টিল প্ল্যান্ট কর্তৃপক্ষের সহযোগীতায় গড়ে ওঠা সবচেয়ে বড়ো ঐতিহ্যশালী ফুটবল গ্রাউন্ড নেহেরু স্টেডিয়ামে গিয়ে উঠব। এখানে ফুটবলের পাশাপাশি বাস্কেট বল এবং ভলিবল খেলার ক্ষেত্রও তৈরী হয়েছে। দুর্গাপুরের ASP স্টেডিয়াম হল অন্যতম বৃহৎ ক্রীড়াক্ষেত্র। পূর্বাঞ্চলের সবচেয়ে বিখ্যাত সিধু-কানু ইন্ডোর স্টেডিয়ামটির অবস্থানও এই শহরে। বর্তমানে আবার দুর্গাপুর পৌরসভা কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে এক নতুন ক্রীড়াভূমি সাহিদ ভগৎ সিং স্টেডিয়ামটি গড়ে উঠেছে।
সৌন্দর্যের শহর দুর্গাপুরের আকর্ষণের সবচেয়ে বড়ো দিকটি হল সিটি সেন্টারের কেন্দ্রস্থলে 4,00,000 sq.ft আয়তন জুড়ে Six floors-এর সেই City of Love JUNCTION MALL, Six floors-র মলটির প্রতিটি ফ্লোরকে এক এক করে সববয়সী মানুষদের জন্য নিত্যনতুন চাহিদাপূর্ণ সরঞ্জামে সজ্জিত করে দেওয়া হয়েছে,শুধুমাত্র শপিং মল বললে এর বৃহৎ পরিসরকে কৃত্রিম করা হয়ে যায়,তার পাশাপাশি সবধরনের স্ক্রিনের উপযোগী বায়োস্কোপ হলও তৈরী হয়েছে। প্ল্যান করেই হোক বা কোনো সুযোগে একবার সিটি সেন্টারে আসা মানেই প্রেমিক-প্রেমিকাদের মন একবার জংশন মলের প্রেক্ষাগৃহের দিকে টানবেই, সাথে হাতে হাত With Popcorn. ছুটি কাটাতেই আসা হোক বা শপিং উপলক্ষ্যে, লাঞ্চ বা ডিনারের জন্য KFC, pizza hut ও Mc.Donald’s-র ফুড কর্নার-ও Available এই মলটিতে।বিভিন্ন festive season-এ মলটির ভেতর ও বাইরে অতিরিক্ত আলোকের রোশনাই এর ঝলকানিতে দুর্গাপুর বাসীকে আরও রোমান্টিক করে তোলে।
জংশন মলই যে এখানকার বিনোদনের একমাত্র জায়গা তা নয়, আছে Wedensday special discount offer BIG BAZAR, এছাড়াও দু-একটি ছোট ছোট মল আছে বিক্ষিপ্ত ভাবে। জংশনের মাল্টিপ্লেক্স ছাড়াও আছে সিটি সেন্টারে Dreamplex মলের Carnival Cinema ও বেনাচিতির আরতি সিনেমা হল। বেনাচিতি বাজার হল পুরো দুর্গাপুরের মধ্যে সবচেয়ে বড়ো কেনাকাটার বাজার। পুজোর ভিড়ের সময়ে এখানে তিলধারনের জায়গা মাত্র থাকে না। এখানকার খুব মনোরম এক ট্যুরিস্ট স্পট দুর্গাপুর ব্যারেজ, স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে দুর্গাপুরের ব্যারেজ এক বিশেষ ইমোশন স্বরূপ। পুরো দুর্গাপুরে বিক্ষিপ্ত ভাবে এখানে ওখানে প্রমোদ উদ্যান গড়ে উঠেছে-মোহন কুমার মঙ্গলম পার্ক, ট্রয়কা, ওয়াটার পার্ক প্রভৃতি।
দুর্গাপুরের মানুষদের সম্মিলিত উদ্যোগ ও প্রচেষ্টায় বেশ কিছু Charity Organization গড়ে উঠেছে। তার মধ্যে উল্লেখ্য কয়েকটি সেবা সমিতি হল-স্বামী বিবেকানন্দ সেবা প্রচার সমিতি,ভারত সেবাসংঘ সমিতি,রাঢ় বাংলা কথা সাহিত্য আকাদেমী প্রভৃতি।আর্থিক দিক দিয়ে অনগ্রসর পরিবারকে বিভিন্ন ভাবে সাহায্য করায় এই Charitable Organization-গুলির মূল লক্ষ্য। দুর্গাপুরের সর্বপ্রধান ঐতিহ্য ও জৌলুস নির্ভর করে আছে-বাঙালির অতিপ্রিয় দুর্গোৎসবকে ঘিরে। এই দুর্গোৎসবের মূল আকর্ষণ হল সুদীর্ঘ 56 বছরের দক্ষিণপল্লীর মার্কনি, যার প্রতি বছর নিত্যনতুন থিমের ছটায় বিভিন্ন নিউজ চ্যানেলের পক্ষ থেকে কোনো না কোনো অংশের দিক থেকে সেরা পূজোর পুরস্কার পেয়ে থাকে।
শুধুমাত্র মার্কনির পূজোর থিমে দুর্গাপুরের দুর্গোৎসব বিচার করা চলে না। অন্যান্য পূজো মণ্ডপ যেমন-নবারুণ, চতুরঙ্গ, ফুলঝোড়, ডেভিড, নেহেরু অ্যাভিনিউ ও মুচিপাড়ার দুর্গাপূজোর যে বৈচিত্র্র তাতে এখানের দুর্গাপুজোর গরিমাকে অধিকমাত্রা প্রদান করেছে। দুর্গাপুরের পারিপার্শ্বিক জায়গা যেমন-অন্ডাল ও গোপালমাঠের দুর্গাপূজোর ধূমও বেশ জমজমাট। বহু জনপ্রিয় এই দুর্গাপূজো গুলিকে পুরোপুরি ভাবে উপলব্ধি করতে বাঙালির পাশাপাশি প্রচুর অ-বাঙালিদের অপার উচ্ছ্বাসে রাস্তায় জনসমাগমের ঢলকে সামাল দিতে অতিরিক্ত ট্রাফিক পুলিশ বাহিনীর মোতায়ন বাঞ্ছনীয় হয়ে পড়ে।
দুর্গাপুর মিশন বহু পুরনো এক নির্ভরযোগ্য চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান যা নিজ কার্যক্ষমতাবলে এখনও দুরারোগ্য ব্যধির কবল থেকে বহু রোগীকে উদ্ধার করছে। বর্তমানে নব চিকিৎসা কেন্দ্রের অত্যাধুনিক সার্জারির নিমিত্তে বিধাননগরে গড়ে হয়েছে বিবেকানন্দ হসপিটালটি।
দুর্গাপুর রাজ্যের মধ্যে সবপ্রথম দ্রুততম উন্নয়নের নিরিখে প্রথম স্থান অধিকার করেছে। আর ভারতের সর্ববৃহৎ উন্নতিসাধনে অনেকখানি এগিয়ে নিয়ে গেছে। ভাললাগার শহর, ভালবাসার শহর, সৌন্দর্যের শহর, আবেগের চরম উল্লাসের সাথে ব্যস্ততম মধুরতর শহর আমাদের দুর্গাপুর।
দুর্গাপুর সম্পর্কে আরো তথ্য পেতে নিয়মিত জুড়ে থাকুন আমাদের eFindout.Com ওয়েবসাইটে। ধন্যবাদ