দুর্গাপুরের বেসরকারী স্কুলে অভিভাবকদের বিক্ষোভ, পরিস্থিতি সামাল দিতে নামে পুলিশ বাহিনী

দুর্গাপুর: লকডাউন অব্যাহত। কোরোনা সংক্রমণের কারণে দীর্ঘ কয়েক মাস স্কুল কলেজ সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। এই সময় সরকারী নির্দেশ অনুসারর পড়াশোনা কে চালিয়ে যাওয়ার জন্য ছাত্র-ছাত্রীদের অনলাইনে ক্লাস নেওয়া হচ্ছে। এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে দুর্গাপুরের বিভিন্ন বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলগুলিতে ডেভলপমেন্ট ফিস সহ কম্পিউটার, ল্যাব ফিস চাওয়া হচ্ছে।

অভিভাবকদের অভিযোগ,লকডাউনের কারণে বহু অভিভাবক কর্মহীন হয়ে পড়েছে তাদের রোজকার বন্ধ তাই অনেকেই বিপুল পরিমাণ স্কুল ফিস দিতে অপারগ। সেই কারণে তারা চাইছেন এই বছর অন্ততপক্ষে স্কুলগুলি অতিরিক্ত খাতের যে অর্থ নেই তা মুকুব করে দেওয়া হোক। ইতিমধ্যেই এই নিয়ে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। কিন্তু তারপরেও দুর্গাপুরের বিভিন্ন বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলগুলি তাদের নিজেদের অবস্থানে অনড়।

দুর্গাপুরের ভারত সেবাশ্রম সংঘ দ্বারা পরিচালিত একটি স্কুল সহ মোট পাঁচটি বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের সামনে সকাল থেকেই অভিভাবকরা বিক্ষোভ করে। স্কুল কর্তৃপক্ষ অভিভাবকদের সাথে কোনও আলোচনা করতে চাননি। আর সেই অভিযোগেই অভিভাবকরা ভারত সেবাশ্রম সংঘ দ্বারা পরিচালিত একটি স্কুলের গেটে তালা ঝুলিয়ে দেয়। সমস্ত স্কুলে পরিস্থিতি সামাল দিতে পৌঁছায় হয় পুলিশ। ভারত সেবাশ্রম সংঘ দ্বারা পরিচালিত যে স্কুলে অভিভাবকরা তালা ঝুলিয়ে ছিল সেই স্কুলে বিক্ষোভ পুলিশি মধ্যস্থতায় নিয়ন্ত্রণে এলেও।

তার পাশেই দুর্গাপুরের একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের সামনে দিনভর অভিভাবকদের বিক্ষোভ অব্যাহত। এই বেসরকারি স্কুলের গেটের বাইরে পুলিশের সাথে অভিভাবকদের একপ্রস্থ বচসাও বাঁধে। অভিভাবকদের আন্দোলনের কারণে স্কুলের ভেতরে আটকে থাকেন বেশ কিছু কর্মী। পুলিশ সেই কর্মীদেরকে বের করে দিতেই অভিভাবকদের সাথে পুলিশের বচসা বেঁধে যায়। স্কুলগুলির সামনে আন্দোলনরত অভিভাবকদের অভিযোগ,” আমরা দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন স্তরে আলোচনা চালালাম। কিন্তু কোনও সুফল পায়নি। জেলাশাসক থেকে মহকুমা শাসক সর্বস্তরে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে মৌখিকভাবে। তাই এবার আমরা যে কোনও আশ্বাসই লিখিত আকারে চাইছি।”