আসানসোল: দীর্ঘদিন ধরে পরীক্ষার রেজাল্ট ঠিক সময়ে না বেরোনো, রিভিউয়ের নম্বর একই পাওয়া সহ একাধিক দাবি নিয়ে শুক্রবার সকালে কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভে সামিল শিল্পাঞ্চলের বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরা কলেজ গেটের লাগানো তালা ভেঙ্গে কলেজের ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করে। একইভাবে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে ২নং জাতীয় সড়কের কাল্লা মোড়ের কাছে আসানসোল দোমহানি রোড অবরোধ করে।
বিক্ষোভ চলাকানিন সময় উপাচার্য ডঃ সাধন চক্রবর্তীর গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখায়। শিক্ষার্থীরা
জানতে চায়, কেনো তাদের পরীক্ষা ও তার রেজাল্ট বার করা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এত দেরি করছে, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে। এই ভাবেই তারা নিজেদের রাগ অভিমান উগরে দেয় উপাচার্যের কাছে। শিক্ষার্থীদের এই বিক্ষোভ আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ আসে। জানা যায়, শেষ পর্যন্ত পড়ুয়া বিক্ষোভের মুখে পড়ে আন্দোলন করতে আসা পড়ুয়াদের মধ্যে ৫ জনকে আলোচনার জন্য ডাকা হয়।
এদিন আন্দোলন করতে আসা আসানসোল গালর্স কলেজের পড়ুয়া সুলেখা চৌধুরী বলেন, আমি পঞ্চম সেমিস্টারের পরীক্ষা দিয়েছিলাম। রেজাল্ট বেরোনোর পরে তার রিভিউ করি। তারপর আবার পরীক্ষা দিয়েছিলাম। সেই পরীক্ষাতেও আগের নম্বরই পেয়েছি। বুঝতে পারছি না, এটা কি করে সম্ভব? এই সমস্যা শুধু আমার নয়। আমার মতো একই সমস্যা অনেক পড়ুয়ার। আমাদের অভিযোগ জানানোর পরেও কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। আসানসোলের বিবি কলেজের শচীন বাউরিরও একই সমস্যা। তার দাবি, পরীক্ষার রেজাল্ট বেরোনোর কথা ছিলো গত সেপ্টেম্বরে। পরে বলা হয় অক্টোবরে বেরোবে। কিন্তু এখন নভেম্বর মাস শেষ হতে চললেও, এখনো রেজাল্ট বেরোলো না। দানিজ আজিজের মতো অনেক পড়ুয়ার দাবি, ষষ্ঠ সেমিস্টারের পরীক্ষা রেজাল্ট এখনো বেরোয় নি।
বহুক্ষেত্রে রিভিউয়ের রেজাল্ট বেরোয় না। আবার বেরোলো তার নম্বর একই থাকে।বিশ্ববিদ্যালয়ের এক আধিকারিক বলেন,শিক্ষার্থীরা এইসব সমস্যার কথা ভেবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একটা গ্রিভান্স সেল তৈরী করেছে। সেই সেলে নজরদারি করেন উপাচার্য নিজে।শিক্ষার্থীরা এইভাবে আন্দোলন না করে সেই সেলে অভিযোগ করতে পারেন। তাহলে তার সমাধান করা হবে।
অন্যদিকে, পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলার পরে উপাচার্য ডঃ সাধন করা বলেন, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। তাদের সমস্যা শুনে আমার মনে হয়েছে, এই সমস্যা কলেজ ভিত্তিক। বিশ্ববিদ্যালয়ের নয়। তবুও আমি পড়ুয়াদের সমস্যা ও দাবি প্রত্যককে আমার কাছে আলাদা আলাদা করে দিতে বলেছি। আমি সে সব নিয়ে কলেজে সঙ্গে কথা বলবো।