দুর্গাপুর: কোরোনা পরিস্থিতে লকডাউনের কারণে কর্মহীন হয়ে পড়েন দুর্গাপুর মহকুমার প্রায় ৯০ জন অস্থায়ী কর্মী৷ তারা তাই মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর কাছে স্বেচ্ছা মৃত্যুর আবেদন জানান। মূলত শ্রম দপ্তরের উদ্যোগে চালু হওয়া সামাজিক সুরক্ষা যোজনাতে সরকার অসংগঠিত শ্রমিকের থেকে প্রতি মাসে ২৫ টাকা করে সংগ্রহ করত। সেই টাকা সংগ্রহের কাজ করত এই ৯০ জন অস্থায়ী কর্মী৷ মাথা পিছু দুই টাকা করে কমিশন পেতেন তারা৷ কিন্তু কোরোনা পরিস্থিত ও লকডাউনের জেরে মুখ্যমন্ত্রী শ্রমিকদের সেই টাকা দিতে হবে না বলে ঘোষণা করেন ৷ তারপর থেকেই কাজ নেই প্রায় ৯০ জন কর্মীর৷ এরপরই আজ জেলা শাসকের মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে স্বেচ্ছা মৃত্যুর আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা৷
সারা রাজ্যে এই এস এল ও -কর্মীর সংখ্যা প্রায় সাড়ে ছয় হাজার। তারা প্রত্যেকে শ্রমিকদের কাছ থেকে ২৫ টাকা আদায় করার কাজ করত৷ এই কাজের জন্য মাথাপিছু দুই টাকা করে কমিশন পেতেন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পর থেকে দীর্ঘ পাঁচ মাসের বেশি সময় কাজ বন্ধ হয়ে গেছে। কোরোনার সময়ে উপার্জনহীন হয়ে পড়েছেন। নিশিথ চট্টোপাধ্যায় নামের এক এস এল ও জানান, “আর চালাতে পারছি না। একদিকে লকডাউনের জেরে সব বন্ধ। অন্যদিকে সরকারের এই সিদ্ধান্ত। তাই বাধ্য হয়ে আমরা স্বেচ্ছা মৃত্যু চাইছি।”