করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন ট্রায়ালের জন্য পৌঁছে গেলেন দুর্গাপুরের যুবক

দুর্গাপুর: করোনা বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এবার এগিয়ে এল বাংলার যুবক চিরঞ্জিত। করোনা ভ্যাকসিনের ইউম্যান ট্রায়ালে অংশ নেওয়ার জন্য ICMR-র কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন দুর্গাপুরের বাসিন্দা পেশায় প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক ওই যুবক। দুই মাস পর ডাক এল তাঁর। ডাক আসার পর একমুহূর্তও দেরি করেননি তিনি৷ ২৪ তারিখ ছুটে যায় ওড়িশার ভুবনেশ্বরের উদ্দেশে।

তার আবেদনে সাড়া দিয়ে জুলাই মাসের শুরুতে চিরঞ্জিতবাবুর কাছে ICMR-র তরফে ফোন যায়। তখনই তাঁকে ওড়িশার ভুবনেশ্বরে যাওয়ার জন্য তৈরি থাকার কথা বলা হয়েছিল। তারপরই তিনি ২৪ তারিখে বন্ধুর গাড়িতে করেই ভুবনেশ্বরের উদ্দেশে পাড়ি দিলেন দুর্গাপুরের প্রাথমিকের শিক্ষক। ভুবনেশ্বরের এক বেসরকারি হাসপাতালে এই পরীক্ষামূলক প্রয়োগ হবে৷

প্রথমে কিছু মেডিকেল পরীক্ষা হবে। সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে, তবেই শরীরে প্রয়োগ করা হবে এই ভ্যাকসিন। ভ্যাকসিনের হিউম্যান ট্রায়ালের জন্য তাঁকে যে ছয়বার সেখানে যেতে হবে সেবিষয়ে ICMR-র তরফে ইতিমধ্যেই তাঁকে জানানো হয়েছে৷ যাওয়ার আগে চিরঞ্জিতবাবু বলেন, “জীবনে অনেক ঝুঁকি আছে। তবে দেশের জন্য প্রাণ দিতে আমি রাজি।

যারা প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে আমাদের জন্য সীমান্তে প্রতিদিন পাহারা দিচ্ছে, তারা যেমন দেশের সেবা করতে পেরে গর্বিত। আজ আমিও গর্বিত। প্রথম দিকে মা-বাবা কিছুটা বাধা দিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁদেরকে বোঝাতে পেরেছি। “চিরঞ্জিতবাবুর বাবা তপনকুমার ধীবর দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার কর্মী। গতকাল মা-বাবার পা ছুঁয়ে প্রণাম করে তাঁদের আশীর্বাদ নিয়ে ভুবনেশ্বরের উদ্দেশে রওনা দেন চিরঞ্জিতবাবু।