আসানসোল: তৃণমূল কংগ্রেস পার্টির শিক্ষক সংগঠনের রাজ্য সভাপতি অশোক রুদ্রকে দু’মাস আগে আসানসোল পুর প্রশাসক বোর্ডের সদস্য করা হয়েছিল। কিন্তু গত শুক্রবার রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তর বিঞ্জপ্তি জারি করে নতুন করে যে পুর প্রশাসক বোর্ড তৈরি করে, সেই কমিটিটিতে নাম নেই অশোক রুদ্রর।
এই ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার বিকালে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাথমিক ,মাধ্যমিক ,উচ্চমাধ্যমিক, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠনের পক্ষ থেকে একটি মিছিল হয় আসানসোল শহর জুড়ে। জিটি রোডের কলকাতা বাজারের সামনে থেকে সেই মিছিল শুরু হয়। সেই মিছিল শেষ হয় সিটি বাসস্ট্যান্ডের কাছে ।সেই মিছিলে প্রায় দেড় হাজার শিক্ষক ও শিক্ষিকা এসে যোগ দিয়েছিলেন। শিক্ষকদের হাতে একাধিক ব্যানারে তাদের অসম্মান ও অপমান করা হচ্ছে সেই চক্রান্তের জবাব তারা দেবেন তার বার্তা লেখা ছিল।
তবে তৃনমূল কংগ্রেসের পতাকা মিছিলে ছিলো না এই প্রসঙ্গে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক তৃণমূল শিক্ষক সংগঠনের জেলা সভাপতি রাজীব মুখোপাধ্যায় ও প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনের জেলা সভাপতি হিমাদ্রি শেখর পাত্র বলেন, করোনার সময় সংগঠনের রাজ্য সভাপতি অশোক রুদ্র দিন রাত এক করে মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন শিক্ষক ও শিক্ষিকাদের সঙ্গে নিয়ে।
রাজ্যজুড়ে তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থক শিক্ষক ও শিক্ষিকারা কোটি টাকার বেশি সংগ্রহ করে মুখ্যমন্ত্রীর তহবিলে পাঠিয়েছিলেন ।রাজীববাবু আরো বলেন, আমরা এর আগেও লক্ষ্য করে দেখেছি যখন পঞ্চায়েত বা পুরসভার নির্বাচন হলো তখন কোন শিক্ষক ও শিক্ষিকাকে প্রার্থী করা হয়নি। আবার জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের কমিটি থেকে ব্লক কমিটিতেও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের একজনকেও রাখা হয়নি।
আমরা মনে করি এটা আমাদের প্রতি চরম অপমান। এর পরেও যখন অশোক রুদ্রকে প্রশাসক বোর্ডের সদস্য করা হয়েছিল তখন আমরা ভেবেছিলাম হয়তো সমস্ত শিক্ষকদের প্রতি সম্মান জানাতেই এটা করা হয়েছে । আচমকা দেখলাম দু মাস যেতে না যেতে সেখান থেকে তাকে সরিয়ে দেওয়া হলো। কেন তাকে নেওয়া হয়েছিল, কেনই বা তাকে সরানো হলো তা আমরা জানিনা।এটা আমাদের কাছে আরোও অপমানজনক বলে মনে হয়েছে। আমরা গণমাধ্যমের মধ্যে দিয়ে আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, যুবনেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও সভাপতি সুব্রত বক্সীর কাছে আবেদন জানাচ্ছি। যদি দেখি সেখান থেকে কোনো ইতিবাচক উত্তর আসছে না তাহলে আমরা পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য আলোচনায় বসবো।এই বিষয়ে অশোক রুদ্র অবশ্য কোন মন্তব্য করতে চাননি। তিনি বলেন, সময় হলে, যা বলার বলবো।