আসানসোল: পকসো আইন অনুসারে দোষী সাব্যস্ত করা হয় এক ব্যক্তিকে। তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শোনায় আসানসোল আদালত। এই প্রথমবার আসানসোল আদালতে পকসো আইন অনুসারে দোষীর সাজা ঘোষণা হয়। এক নাবালিকাকে ধর্ষণ ও নির্যাতনের দায়ে রানিগঞ্জের যুবক কৃষ্ণ ভুঁইঞাকে যাবজ্জীবন কারাবাসের সাজা শুনিয়েছেন আদালত।
২০১৭ সালের ১৯ এপ্রিল রানিগঞ্জের রনাই এলাকায় তিন বছরের এক শিশুকন্যাকে অপহরণ কৃষ্ণ ভুঁইঞা। ওই শিশুকন্যার মা নেই৷ বাবা দিনমজুর। জেঠুমার কাছেই থাকত। জেঠুমা গিয়েছিলেন ইটভাটায় কাজ করতে। বোনেদের সঙ্গে উঠোনে খেলার সময়ই ওই শিশুকন্যাকে কৃষ্ণ ভুঁইঞা তুলে নিয়ে চলে যায়। জেঠুমা ফিরে আসার পর খোঁজাখুঁজি করে প্রথমে ওই শিশুকন্যাকে পাননি। বেশ কিছু সময় পরে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় কৃষ্ণ ভুঁইঞার মা বাড়ির সামনে ফেলে দিয়ে যায়। এরপর ওই শিশুকন্যাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে গেলে চিকিৎসকরা জানান ওই শিশুকন্যাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। পাশাপাশি নৃশংসভাবে তাকে শারিরীক অত্যাচার করা হয়েছে। ওইদিনই রানিগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। কৃষ্ণ ভুঁইঞা গা ঢাকা দেয়। ওই বছর ২৭ এপ্রিল পুলিশ কৃষ্ণ ভুঁইঞাকে গ্রেপ্তার করেন। পকসো আইনে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।
সরকারি আইনজীবী তাপস উকিল জানান, এই কেসে মোট ১১ জন সাক্ষী দিয়েছেন। তার মধ্যে ৪ জন চিকিৎসকও ছিলেন। দীর্ঘ শুনানির পর বুধবার পকসো আদালতের বিচারক শরণ্যা সেন প্রসাদ কৃষ্ণ ভুঁইঞাকে দোষী সাব্যস্ত করেন। আজ তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শোনান বিচারক।