বেশ কয়েকদিন ধরে শিল্পাঞ্চলে করোনার প্রকোপ বেড়েছে এবং বেশ কয়েকজনের মৃত্যুও হয়েছে। এই ক্রমবর্ধমান সংক্রম বাড়ার কারণে প্রসাশন বার বার মিটিং করে। প্রশানিক ভাবে বার বার লকডাউনের সিধান্ত নেওয়া হচ্ছে শিল্পাঞ্চল জুড়ে। এই লকডাউন নিয়ে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে ছোট ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা যাচ্ছে। তারা বলছেন এই ভাবে আর কতদিন চলবে কতদিন তাদের ব্যবসা বন্ধ করে রাখতে হবে।
এই শিল্পাঞ্চলের বুকে ফুটপাত কে কেন্দ্র করে অসংখ্য মানুষের রুটি রুজি চলে কিন্তু তারা এই লকডাউনের জন্য সম্পূর্ণ বেকার হয়ে পড়েছে। অনেক মানুষ অন্য জেলা থেকে শিল্পাঞ্চলের বুকে দিন মুজেরের জন্য ছুটে আসে। তাদের অথনৈতিক খাঠামো ভেঙে পড়েছে।তারা কাজ না পেয়ে অতি কষ্টে দিন যাপন করছে। অনেকের মুখে শোনাযাচ্ছে ” না খেতে পেয়ে মরার থেকে করোনায় মরা ভালো”। এবং যেসকল পরিযায়ী শ্রমিক ফিরে এসেছে তাদের জন্য সরকার এখনো সেইভাবে কর্মের কিছু বিকল্প ব্যবস্থা করেনি। তাদের মধ্যেও প্রসাশনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।
এছাড়া শিল্পাঞ্চলের অসংখ্য ছাত্র ছাত্রী সমস্যার মধ্যে রয়েছে। অনেকের বাড়িতে কোনো এন্ড্রয়েড মোবাইল নেই, অর্থনৈতিক কারণে অনেকে ফোন রিচার্জ করতে পারছে না। সেই কারনে অনেক ছাত্রছাত্রী পড়া বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে। সকলের মধ্যে লকডাউনকে কেন্দ্র করে ক্ষোভ জন্মেছে দিনে দিনে।
লকডাউনের কারণে অনেক চিকিৎসক নিয়মিত বসছেন না তাদের চেম্বারে তাই কেউ অসুস্ত হলে সঠিক চিকিৎসার অভাব দেখা দিয়েছে শিল্পাঞ্চল জুড়ে। সকলের মধ্যে একটিই প্রশ্ন এই লকডাউনের পালা শেষ হয়ে আবার শিল্পাঞ্চল করে তার নিজস্ব ছন্দে ফিরে আসবে। সকলে সেই দিকে তাকিয়ে। এখন অপেক্ষা করা ছাড়া কোনো উপায় খুঁজে পাচ্ছেন না শিল্পাঞ্চল বাসী।