অন্ডাল: উখড়া গ্রামের সুভাষ পাড়ার বাসিন্দা বিক্রম রায়। খাঁন্দরার সরকারি প্রতিবন্ধী কেন্দ্রে শিক্ষকতার কাজ করেন। বাড়িতে তার স্ত্রী ও ছেলে আছে। তারপরে তার প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আইভিদেবীর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। আট মাস আগে আইভিদেবীকে তিনি বিয়ে করেন বলে মৃতার পরিবারের দাবি। অভিযোগ, বিক্রম রায় তার দ্বিতীয় বিয়ের ব্যাপারটি প্রথম পক্ষের স্ত্রীর কাছে গোপন রেখেছিল। বিয়ের পরেও আইভিদেবী কাজোড়ায় নিজের বাপের বাড়িতেই থাকতেন। বিক্রম প্রায়ই সেখানে আসা-যাওয়া করত বলে অভিযোগ।
জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুরেও বিক্রম রায় কাজোড়ায় আইভিদেবীর বাড়িতে যায়। সেই সময় আইভিদেবী ছাড়াও বাড়িতে ছিলেন তার ঠাকুমা মায়ারানি হাজরা। দু’জনের বাদানুবাদ চলছিল। সেইসময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে সে আইভিদেবীর উপর চড়াও হয়। বাধা দিতে গিয়ে তার ঠাকুমা আহত হন। প্রথমে ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুন করার পরে ওই অভিযুক্ত আইভিদেবীর দেহ পেট্রল ঢেলে জ্বালিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে আসে অন্ডাল থানার পুলিশ।
ঠাকুমা মায়ারানি দেবীর অভিযোগ, সন্ধ্যায় উখরার বাড়ি থেকে অভিযুক্তকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। পুলিশ সূত্রে খবর, জেরায় খুনের কথা স্বীকার করে নিয়েছে ওই অভিযুক্ত। আজ তাকে দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে তোলা হবে। তদন্তের স্বার্থে অভিযুক্তকে নিজেদের হেপাজতে চাওয়া হবে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। অভিযুক্ত বিক্রমের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছে মৃতের প্রতিবেশীরা।